ঢাকা, ১১ ডিসেম্বর, ২০২২ (বাসস): আজ এক আলোচনায় বক্তারা বলেছেন, সমুদ্র অর্থনীতির সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যগুলো অর্জনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ তার ইপ্সিত অগ্রযাত্রায় সফলতার সাথে উন্নতির শিখরে পৌঁছবে। এ অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে সরকারি-বেসরকারি ও প্রয়োজনে বৈদেশিক অংশীদারিত্বকে প্রাধ্যান্য দিয়ে কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
বাংলাদেশ-নর্থ আমেরিকান জার্নালিস্টস নেটওয়ার্ক আয়োজিত ‘সমুদ্র অন্বেষণ: টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনের জন্য সম্ভাব্য হাতিয়ার’ শীর্ষক শনিবার আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন কানাডা প্রবাসী লেখক, গবেষক ও সাংবাদিক, বাংলাদেশ-নর্থ আমেরিকান জার্নালিস্টস নেটওয়ার্কের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার জাহিদ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলাম ভূইয়াঁ।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এস. এম. রফিকুজ্জামান, মুখ্য আলোচক হিসেবে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির (বার্ড) সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. এস. জে আনোয়ার জাহিদ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. এ কে এম রেজাউর রহমান ও প্রশিকার পরিচালক (প্রোগ্রাম) সাঈদ হাসান।
মূল প্রবন্ধে ড. এস. এম. রফিকুজ্জামান সামুদ্রিক শৈবাল নিয়ে তার গবেষণার বিষয় উল্লেখ করে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের জন্য এর নানা কার্যকারিতা তুলে ধরেন। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, শৈবাল-ভিত্তিক পলিমারগুলিতে (পলিস্যাকারাইড) এবং ঔষধ সরবরাহ, ক্ষত ড্রেসিং এবং টিস্যু ইঞ্জিনিয়ারিং এর মতো বায়োমেডিকাল অ্যাপ্লিকেশনগুলিতে এগুলোর ব্যবহারে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে বলে জানান।
প্রধান অতিথি আজিজুল ইসলাম ভূইয়াঁ বাংলাদেশের মানুষের জীবন, জীবিকা ও অর্থনীতির উন্নয়নে দেশে সমুদ্রবিজ্ঞান শিক্ষায় জোর দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতাত্তোরকালে উপলব্ধি করেছিলেন যে, সমুদ্রে আমাদের একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে আইনকাঠামোর প্রয়োজন। বর্তমান সরকার সুমুদ্র অর্থনীতিকে গড়ে তুলতে সামুদ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং সমুদ্র সম্পদ আহরণ ও অনুসন্ধানের সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।